আজ ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার | ১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখন সময়- সকাল ১০:০২

আজ ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার | ১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারপ্রতিষ্ঠায় নীতির পরিবর্তন চাই

আমাদের প্রিয় মাতৃভ‚মি ¯^াধীনতা লাভ করে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসে¤^র দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর। বাঙালির এ জয়ের পেছনে রয়েছে এক বেদনা ও কলঙ্কের ইতিহাস। সে ইতিহাসক বুকে নিয়েই বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ¯^াধীনতার সংগ্রাম তথা মুক্তির যুদ্ধে। ¯^াধীনতার ঘোষণাপত্র অনুযায়ী এ সংগ্রামের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা। এটিই হল এ নিবন্ধের মূল প্রতিপাদ্য।

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ¯^াধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখ আছে-
“সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়েছেন সে ম্যান্ডেট মোতাবেক নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সুবিচার রক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের ¯^াধীনতা ঘোষণা করছি”

পরবর্তীতে ১৭ ই এপ্রিল মুজিবনগরের বৈদ্যনাথ তলায় মুজিবনগর সরকার কর্তৃক এ ঘোষণা পুনরায় উচ্চারিত হয়। ¯^াধীনতা ঘোষণার পরবর্তী সময়ে তাজউদ্দিন সহ বিভিন্ন জনের বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে একথা বারবার ফোটে ওঠে। ১৯৭১ সালের ১১ ই এপ্রিল অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন বলেন-
“আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক- ক্ষুধা, রোগ, বেকারত্ব আর অজ্ঞানতা থেকে মুক্তি। গড়ে উঠুক- প্রথম গণশক্তিকেন্দ্রিক সমাজব্যবস্থা। গণমানুষের কল্যাণে সাম্য ও সুবিচারের ভিত্তিতে লিখিত হোক জয় বাংলা ¯েøাগান”

১৪ এপ্রিল প্রবাসী সরকারের নির্দেশনাবলীতে উল্লেখ আছে-
“বাঙালির অপরাধ তারা অবিচারের অবসান চেয়েছে। বাঙালির অপরাধ তারা মা-বাবা, ভাই-বোন, সন্তান-সন্ততির জন্য অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসার দাবি করেছে। বাঙালির অপরাধ তারা আল্লাহর সৃষ্ট পৃথিবীতে আল্লাহর নির্দেশমত অন্যায়-অবিচার ও শোষণের অবসান ঘটিয়ে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছে।”

এসকল বক্তব্যে ¯^াধীনতার মূল উদ্দেশ্য সুস্পষ্টভাবে বারংবার উচ্চারিত হয়েছে। এখানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার শব্দ তিনটি বিশ্লেষণের দাবী রাখে।
সাম্য : সাম্য মানে সমতা বা ভারসাম্য। সাম্য হলো- “ঞযব ংঃধঃব ড়ভ নবরহম বয়ঁধষ, বংঢ়বপরধষষু রহ ংঃধঃঁং, ৎরমযঃং ড়ৎ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং.” অর্থাৎ- যোগ্যতা, অধিকার বা অবস্থার আলোকে সবাইকে সমান সুযোগ দান করাকে সাম্য বলা হয়।
আরো সহজভাবে বলা যায়; সমাজে নারী-পুরুষ, নৃ-গোষ্ঠী, ধর্মীয় গোষ্ঠী নির্বিশেষে যেসকল জনগোষ্ঠী বাস করে তাদের সবার মধ্যে সম্মান, ¯^াধীনতা, কথা বলার অধিকার, জীবিকার অধিকার এবং চলাচলের অধিকারসহ সর্বক্ষেত্রে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা।
মানবিক মর্যাদা : যা দু’টি শব্দের সমš^য়ে গঠিত। একটি হলো মানবিক বা যঁসধহরঃধৎরড়হ। অপরটি হলো মর্যাদা বা ফরমহরঃু. মানবিক মর্যাদা বলতে বুঝায়- “অহ রহফরারফঁধষ ড়ৎ মৎড়ঁঢ়’ং ংবহংব ড়ভ ংবষভ-ৎবংঢ়বপঃ ধহফ ংবষভ-ড়িৎঃয, ঢ়যুংরপধষ ধহফ ঢ়ংুপযড়ষড়মরপধষ রহঃবমৎরঃু ধহফ বসঢ়ড়বিৎসবহঃ”
অর্থাৎ- একটি ¯^তন্ত্র ব্যক্তিসত্ত¡া বা গোষ্ঠীবিশেষের আত্মসম্মানবোধ, আত্মযোগ্যতা, শারীরিক ও মানসিক অখণ্ডতা এবং ক্ষমতায়নের অনুভ‚তিকে মানবিক মর্যাদা বলে।
এককথায়, মানবিক মর্যাদা হলো মানবিক অধিকার বা ¯^াধীনতা। যা সকল মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। জন্মগত অধিকার; জন্মের পর থেকে মানুষ এ অধিকার ভোগ করবে এবং চর্চা করবে। এ অধিকার একইসাথে সহজাত ও আইনগত অধিকার।
ন্যায়বিচার : এখানেও দু’টি শব্দ। যার একটি ন্যায় বা বয়ঁরঃু এবং অপরটি হলো বিচার বা লঁংঃরপব. ন্যায়বিচার বলতে সাধারণত বোঝায়- “ঞযব লঁফমসবহঃ ড়ভ নবরহম ভধরৎ ধহফ রসঢ়ধৎঃরধষ” অর্থাৎ ন্যায্য ও নিরপেক্ষভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ন্যায়কে সংজ্ঞায়িত করা কঠিন। দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে। তবে সমাজে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মাঝে ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা- এটা ন্যায়বিচারের সংজ্ঞা হতে পারে।
বাংলাদেশ সংবিধানের মৌলিক অধিকার পর্যায়ের ৩য় ভাগে এ তিন নীতির কথা উল্লেখ আছে ঠিকই, কিন্তু কথায় আছে “হুজুরের গরু কিতাবে আছে গোয়ালে নেই” দুঃখজনক হলেও সত্যি, সংবিধানে সন্নিবেশিত থাকলেও ¯^াধীনতার এই অর্ধশত বছরেও দেশে সাম্য, মানবিকমর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এদেশের মানুষ ¯^াধীনতার জন্য লড়াই করেছে, কারো অধীনতা বা বশ্যতা ¯^ীকার করার জন্য নয়। কিন্তু প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জলাঞ্জলি দিয়ে দেশের জনগণকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরাশক্তির অধীনতা ও বশ্যতা ¯^ীকার করানোর ঘৃণ্য রাজনীতির চর্চা হচ্ছে। ¯^াধীনতাকামী জনতার হৃদয়মাঝে লালিত মুক্তির আদর্শ ও চেতনাকে ধামাচাপা দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঘুনেধরা সংসদীয় গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের শিক্ষায় গড়ে তোলা হচ্ছে। কৌশলে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের বিষফোঁড়া তাদের মাঝে রোপন করা হচ্ছে। যদিও ¯^াধীনতার ঘোষণাপত্র, প্রবাসী সরকারের নির্দেশনাবলী, তাজউদ্দীনসহ তৎকালীন ¯^াধীনতাকামী নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের কথা বলা হয়নি। ১৯৭০ এর নির্বাচনী ঘোষণায়ও আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেনি। ¯^াধীনতার পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারাও কখনো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ক্ষমতায় আসেনি।
এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। যদি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হয়, তবে বলতে হয় এদেশের মানুষ অস্ত্র ধরেছিল জুলুমের বিরুদ্ধে, অস্ত্র ধরেছিল শোষণের বিরুদ্ধে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে। এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আর যে রাষ্ট্রে জুলুম, শোষণ ও বৈষম্য নেই, সে রাষ্ট্রেই সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যয় বিচার খুঁজে পাওয়া যাবে।
দেশের মোট সম্পদের ৮২% মাত্র ২শতাংশ মানুষ ভোগ করছে। বাকী ৯৮ শতাংশ জনগণ প্রতিনিয়ত বৈষম্যের ¯^ীকার হচ্ছে। ৯০দশকের হবি ঢ়ঁনষরপ সধহধমবসবহঃ এর আওতায় দেশের নাগরিকদের কাস্টমার হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। যদিও রাষ্ট্রের সকল নাগরিক সমান সুযোগ সুবিধা পাওয়ার হক্বদার। কিন্তু বর্তমান সমাজে বিত্তবানরাই কেবল টাকার বিনিময়ে সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে আর অন্যরা অর্থের অভাবে তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আজ সমাজে বিত্তবান আর নিম্ন শ্রেণির মাঝে আকাশ-জমিন বৈষম্য। পুঁজিবাদী শাসনের যাতাকলে গরীবরা দিন দিন আরো গরীব হচ্ছে অর সম্পদশালীরা দিন দিন আরো সম্পদশালী হচ্ছে। মানুষের বেচে থাকার অধিকার, কথা বলার অধিকার, চলাচলের অধিকার এবং ধর্মীয় অধিকারসহ কোন অধিকারের নিশ্চয়তা আমাদের এ ভুখণ্ডে নেই বললেই চলে। ন্যায়বিচারের বানী আজ শোষকের যাতাকলে নিভৃতে কাঁদে। বলা যায় আমাদের এ ছোট্ট ভুখণ্ডটি আজ নানাবিদ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে তা মরণব্যাধি ক্যান্সারের রূপ পরিগ্রহ করেছে।
সমস্যার সমাধানে কিছুদিন পর পর নেতার বদল করা হলেও ক্ষমতার পালাবদলে জনগণের দূরাবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। যত দিন যাচ্ছে সমস্যা তত প্রকট হচ্ছে। বাড়তে বাড়তে তা আজ মহামারী আকার ধারণ করেছে।
মুক্তিযদ্ধের সেই মহান আদর্শ- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে নীতির পরিবর্তনের বিকল্প নেই। নীতির পরিবর্তন না ঘটানো পর্যন্ত দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারেনা। মানুষ প্রকৃত মুক্তি পেতে পারেনা। কারণ এ জাতি শান্তির আশায় বহু কিছুরই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। পরিবর্তনের প্রতিটি প্রেক্ষাপটে এ জাতি বহু রক্ত দিয়েছে, অসংখ্য মানুষ জীবন দিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছে। ভাগ্যাহত এ জাতির ত্যাগের বিনিময়ে ভ‚খন্ড পরিবর্তন হয়েছে, ভাষার পরিবর্তন হয়েছে, শিক্ষার পরিবর্তন হয়েছে, রাষ্ট্রের পরিবর্তন হয়েছে, পতাকার পরিবর্তন হয়েছে। বিগত পাঁচ দশক ধরে চলছে নেতা পরিবর্তনের বিভৎস মহড়া। শান্তির আশায় এ দেশের শান্তিকামী মানুষ জীবনের বিনিময়ে একের পর এক নেতার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। কিন্তু শান্তি আসেনি; বরং আরো অশান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। ¯^াধীনতার পর থেকে যে বা যারাই ক্ষমতায় এসেছে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক উপাদান হিসেবে সবাই একই নীতি গ্রহণ করেছে। সময়ে সময়ে শুধু নিজেদের ¯^ার্থে অথবা বাহবা কুড়ানোর জন্য বৃটিশদের রেখে যাওয়া নীতির সাথে কিছুটা রঙ লাগিয়েছে। দেশের বর্তমান অবস্থা তো আরো ভয়াবহ। এ দেশের ¯^াধীনতার জন্য মানুষ অকাতরে জীবন দিয়েছে কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিশ্বের ৫টি ¯ৈ^রতান্ত্রিক দেশের মধ্যে আজ বাংলাদেশ একটি। এ থেকেই অনুমান করা যায় দেশ এবং দেশের মানুষ কতটা বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। অতএব মানবতার বিপর্যয়ের এ চরম মূহুর্তে নীতির পরিবর্তন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাড়িয়েছে। পৃথিবীতে নানারকম নীতি আছে। বিশ্বের অনেক দেশেই সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত আছে। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে তা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সেখানেও তা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত নেই। আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও বর্ণবাদের বৈষম্য, মানবিক মর্যাদা ভ‚লণ্ঠিত এবং ন্যায়বিচারের অভাব দেখতে পাই।

আমরা এমন নীতির প্রস্তাব করতে চাই, যে নীতিই কেবল পারে এদেশে সাম্য , মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। যে নীতিতে সরকার প্রধানকেও জনগণের চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকে। যে নীতিতে ক্ষুধার্তকে সরকার প্রধান নিজ মাথায় বহন করে খাবার পৌছে দেন। যে নীতিতে বিচারকের কাছে সরকার প্রধানকে জবাবদিহী করতে হয়। যে নীতি রাতের অন্ধকারেও সৎকর্মে লিপ্ত থাকার শিক্ষা দেয়। যে নীতিতে লোকচক্ষুর অন্তরালেও নিজের কু-বাসনা কে দমন করার শিক্ষা দেয়। যে নীতিতে বাদশাহ এবং ভৃত্যের মাঝে পার্থক্য করতে বাহ্যিক কোন উপায় থাকেনা। যে নীতিতে সরকার প্রধান তার ছেলেকেও শাস্তির সম্মুখীন করতে কুণ্ঠাবোধ করেনা। যে নীতিতে গরীব এবং ধনীর মাঝে কোন বৈষম্য করেনা। যে নীতি আরব এবং অনারবের মধ্যে কোন পার্থক্য সৃষ্টি করেনা। যে নীতিতে সাদা এবং কালোর মাঝে মর্যাদাগত কোন পার্থক্য করেনা। যে নীতির আওতায় পৃথিবীর সকল মানুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকে। সে নীতির নাম হলো ইসলাম। যেই নীতির প্রস্তাবক হযরত মুহাম¥াদ সা. বলেন-
“আজকে মানুষের মাঝে কোন বিভেদ থাকবেনা। আরবের উপর অনারবের, অনারবের উপর অরবের শ্রেষ্ঠত্ব থাকবেনা। সকল মানুষ হবে সমান মর্যাদার অধিকারী।”
ইসলাম সম্পর্কে দার্শনিক জর্জ বার্নাডশ বলেছিলেন-
“ওংষধস রংহ’ঃ ড়হষু ধ ৎবষরমরড়হ নঁঃ ধষংড় ধ পড়সঢ়ষবঃব, পড়সঢ়ৎবযবহংরাব, ফুহধসরপ ধহফ ংপরবহঃরভরপ পড়ফব ড়ভ ষরভব”
অর্থাৎ- ইসলাম নিছক ভক্তি ও তপস্যামূলক কোন ধর্ম নয়; বরং ইসলাম হচ্ছে মানবজাতির জন্য পরিপূর্ণ, তাৎপর্যমূলক, গতিশীল ইবং বিজ্ঞানসম্মত জীবনব্যবস্থা।

বর্তমান মানবরচিত সংবিধানকে বহাল রেখে যদি কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতার হাতবদল হতে থাকে আর নেতার পরিবর্তন ঘটতে থাকে তারপরও কিছুতেই শান্তি আশা করা যায়না। পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট ঘোষিত হয়েছে-
“যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতিত অন্যকোনো ধর্ম বা জীবনব্যবস্থা অšে^ষণ করে, কস্মিককালেও তা আল্লাহ তা’আলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবেনা আর আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্থ”
বিশ্বের যে প্রান্তেই আল্লাহর দেয়া নীতি অনুসৃত হবেনা, নিঃসন্দেহে সে প্রান্তেই অশান্তি ও বিশৃক্সখলা সৃষ্টি হবে। আমাদের দেশ ও এর ব্যতিক্রম নয়। মানুষের মনগড়া নীতি এবং তাগুতের মদদকারী নীতির বদৌলতে বিশ্বের প্রথম সারির ৫টি ¯ৈ^রতান্ত্রিক দেশের মধ্যে আজ একটি বাংলাদেশ। ৪৭ বছর ধরে মানুষের মনে যে তীব্র ক্ষোভ পুঞ্জিভুত হয়ে রয়েছে যেকোনো মুহূর্তে তার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
তাই সংকট উত্তরণে, মানবতার মুক্তির লক্ষে, প্রকৃত শান্তি আনয়নে এবং সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মানবরচিত নীতির পরিবর্তন করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নাই।

লেখক : জি এম বায়েজীদ

তথ্যসূত্র-
১) নেতা ও পিতা- তাজউদ্দিন আহমেদ
২) ঘরে-বাহিরে- একে খন্দকার
৩) সময় ও অসময়- মহিউদ্দিন আহমেদ
৪) বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী
৫) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসেনানী শেখ মুজিবুর রহমান- ডা. কালিদাস রুদ্র
৬) বাংলাদেশ সংবিধান
৭) নীতির পরিবর্তন চাই- গাজী আতাউর রহমান
৮) ইসলাম-ই পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা- মওলানা মুহা. আবু ত্বলহা বিন রেদওয়ান
৯) ডরশরঢ়বফরধ.পড়স
১০) ইধহমষধঢ়বফরধ.পড়স
১১) ঈংপংনফ.পড়স

Leave a Comment

লগইন অথবা নিবন্ধন করুন

লগইন
নিবন্ধন